Aug 11, 2020

হবিগঞ্জের বাহুবলে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মায়ের বাড়ি শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধামে ডাকাতি

হবিগঞ্জের বাহুবলে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মায়ের বাড়ি শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধামে ডাকাতি।

অভিজিৎ ভট্টাচার্য:- গতরাতে (১০ আগস্ট দিবাগত রাতে) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মামারবাড়ি বাহুবলের জয়পুরে অবস্থিত শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দিরে ডাকাতি হয়েছে। এই ডাকাতরা শ্রীশ্রী শচীমায়ের কোল থেকে মহাপ্রভুকে (শিশু নিমাই) নিচে নামিয়ে রাখে। তারপর শচীমায়ের অঙ্গ থেকে স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়। সঙ্গে কাঁসার বাসনসহ বহু জিনিস নিয়ে গেছে।

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু

শুধু ডাকাতি নয়, শচীমাতা এবং তার কোলে থাকা শিশু নিমাইকে (শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু) ওরা যেভাবে মাটিতে ফেলেছে তা দেখেও নানা সন্দেহ হচ্ছে। কারণ ডাকাতি করতে এসে বিগ্রহকে মাটিতে ফেলে দেবে কেন? এটা কি নিছকই ডাকাতি ছিল না অন্য কোনো উদ্দেশ্য?
হঠাৎ করে বহু তালা ভেঙ্গে মহাপ্রভুর মায়ের বাড়ির মন্দির ডাকাতি হওয়াটাকে আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না। তবু ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।
সকাল ৬টার দিকে বাহুবল পুলিশের ওসি জনাব কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মন্দিরে আসেন। তিনঘন্টারও বেশি সময় ধরে তারা তদন্ত করছেন।
সবমিলিয়ে এখন কি করা উচিত, বুঝতে পারছি না? এমনিতেই করোনাকালে মন্দির চালানো বহু কষ্ট। তারওপর এমন নির্যাতন। কেমনটা লাগে বলুন?
ডাকাতির দুই/তিনটি কারণকে আমরা সন্দেহ করছি-
১. প্রতিহিংসা-যারা ভেবেছে মন্দির চুরি করে হিন্দুদের দমিয়ে রাখা।
২. ছিঁচকে অথবা নয়া গজিয়ে ওঠা গাঁজাখোর, মদখোর-যারা টাকার অভাবে কাজটি করতে পারে।
৩. করোনা কালে টাকার অভাব থেকে হয়তো কেউ কাজটি করতে পারে, কারণ স্বর্ণের দাম বেড়েছে। এখান থেকে চুরি করে নিয়ে স্বর্ণ বেচে ভালোই টাকা পাওয়া যাবে।
আমাদের ধারণা, যারা এই কাজটি করেছে তারা পেশাদার নয়। পেশাদার হলে স্বর্ণের গহনার সঙ্গে মন্দিরের ভক্তনিবাস থেকে বিছানার চাদর, চায়ের কাপ, রথের রশিসহ এসব ঠুনকো জিনিস নিয়ে যেত না। নতুন গজিয়ে ওঠা কোনো চক্র এই কাজটি করেছে এবং এই চক্রকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে।
যাই হোক, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাহুবল পুলিশের পাশাপাশি বাহুবল পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক নিখিল সাহাসহ স্থানীয় মান্য ব্যাক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছোট পরিসরে আয়োজন করা জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

Share this